মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১৫ অপরাহ্ন
দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে এক পরিবারকে নিজের জায়গায় আশ্রয় দিয়ে ১৪ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষন করা হয়েছে। পরে ওই মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের বায়রা (ভেদাডাঙ্গী) গ্রামে এ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের মৃত কালীপদ সরকারের পুত্র প্রভাবশালী রাধেশ্যাম সরকার ওই দরিদ্র পরিবারকে তার নিজের জায়গায় আশ্রয় দেয় । এ সুযোগে ওই পরিবারের ১৪ বছরের নাবালিকা মেয়েকে গত ২০ ডিসেম্বর দুপুরে আখ ক্ষেতে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে অভিযুক্ত রাধেশ্যাম নিজের টাকা ব্যয় করে যৌতুক দিয়ে ভিকটিমকে তার মামাত ভাইয়ের সাথে ২৩ ডিসেম্বর এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে দেয়। পরবর্তীতে রেজিস্ট্রি করতে উপজেলা সদরে হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রার শান্তি লাল মন্ডলের কাছে নিয়ে যায়। মেয়েটির বয়স কম থাকায় তিনি রেজিস্ট্রি করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
সোমবার (৩ জানুয়ারি) সরেজমিনে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ভিকটিমের বাবা ৮-১০ বছর আগে মারা গেছে । তার মা পরিবারের হাল ধরতে বিদেশ চলে যায়। ভিকটিম তার নানা নানীর পরিবারের সাথে রাধেশ্যামের আশ্রয়ে থাকেন। সুযোগ বুঝে রাধেশ্যাম মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। নিজে রক্ষা পেতে সাড়ে ৩ লাখ টাকা দিয়ে মামাত ভাইয়ের সাথে বিয়ে দেয়। এরপর থেকে অভিযুক্ত রাধেশ্যাম গঁা-ঢাকা দেয়। সেই সাথে নব দম্পতিকেও সরিয়ে রাখা হয়।
ভিকটিমের নানী জানান, রাধেশ্যাম আমার নাতনীকে জোর করে ধরে মুখে কাপড় দিয়ে আখ ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে অপকর্ম করেছে। আমার ছেলের ঘরের নাতি দেখার পর তাকে উদ্ধার করে নিযে আসে। এদিকে, অভিযুক্ত রাধেশ্যামকে পাওয়া যায়নি। তবে তার মোবাইল ফোনে মেয়ে লতা সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার বাবার সাথে বিষয়টি মিটমাট হয়ে গেছে। মেয়েটিকেও বিয়ে দেয়া হয়েছে, তারা ভালো আছে। এ বিষয়ে পত্রিকায় না লেখার জন্যও অনুরোধ করেন তিনি।
হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রার শান্তিলাল মন্ডল বলেন, মেয়েটির বয়স কম হওয়ায় আমি বিয়ের রেজিস্ট্রি করিনি। এছাড়া হিন্দু সম্প্রদায়ের রীতি-নীতি অনুযায়ী মামাত-ফুপাতো ভাই বোনের মধ্যে বিয়ে চলে না।
এ ব্যাপারে সিংগাইর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মো. মাহফুজ রানা বলেন, বিষয়টি শুনে ওসি স্যারের নির্দেশে দারোগা আবুল হোসেনকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। তিনি বিস্তারিত বলতে পারবেন।
এসআই মো. আবুল হোসেন বলেন,আমি নির্বাচনী ডিউটিতে আছি । কাল-পরশু সাক্ষাতে আলাপ হবে